শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল। মৃত জেলে আবেদ আলী (৩০) নগরীর রসুলপুর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহরাব সর্দারের ছেলে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হন জেলে আবেদ আলী। ঘটনার পরপরই নিখোঁজ জেলের একটি কাটা পা উদ্ধার করা হয়, আর শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা তল্লাশীও করে। তবে তারা সেদিন কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনার দুদিন পর বুধবার ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জেলে আবেদের স্ত্রী রুমা জানান, ভাগ্নে ইয়াসিনকে নিয়ে তিনি ও তার স্বামী কীর্তনখোলা নদীর নৌ-বন্দর এলাকায় জাল ফেলেন। ¯্রােতের টানে জাল গিয়ে নৌ-বন্দরে থেমে থাকা বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের ইঞ্জিনের পাখায় আটকে যায়। লঞ্চের পিছনে থাকা এক কর্মচারীকে বলে পাখা থেকে জাল ছাড়াতে যায় স্বামী আবেদ। কিন্তু জাল ছাড়ানোর সময় ইঞ্জিন চালু দেয়। তখন কর্মচারীদের বললেও তারা বলে তাদের করার কিছু নেই। তবে মরদেহ উদ্ধারের পর স্ত্রী রুমাসহ স্বজনরা জানিয়েছেন, গরীব বিধায় তারা কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে চান না।
এদিকে উদ্ধারকৃত মরদেহের সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লঞ্চের পাখায় কাটা পড়ে জেলে আবেদ নিহত হয়েছে। পাখায় কাটা পড়া একটি পা ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়েছে। আর পা বিহীন মরদেহটি আজ (বুধবার) উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply